বাংলাদেশের উত্তরপূর্ব প্রান্তিক অঞ্চল সিলেট। সিলেটের পূর্বে আসামের কাছাড়, পশ্চিমে ময়মনসিংহ, উত্তরে খাসিয়া জৈয়ন্তিয়া পাহাড় এবং দক্ষিণে পার্বত্য ত্রিপুড়া বিস্তৃত। প্রাচীন শিলালিপি, ভাস্কর্য্য, ঐতিহাসিক নিদর্শন, স্থাপত্য, পুরাকীর্তি, শ্রুতি, স্মৃতি সবমিলিয়ে প্রাচীন সভ্যতার বিশাল ইতিহাস লুকায়িত রয়েছে এই অঞ্চলের পরতে পরতে।
সিলেটের মনোলোভা প্রকৃতি প্রত্যক্ষ করেছেন অনেক ঐতিহাসিক পর্যটক। চৌনিক পরিব্রাজক হিউয়েন সাঙ (৬৪০), ইবনে বতুতা (১৩৪৬) সিলেট পরিভ্রমন করে এর রূপ লাবন্যে মুগ্ধ হয়েছিলেন। ঐতিহাসিকভাবে এটা প্রমানিত যে, সিলেট প্রকৃতির লীলা নিকেতন। শ্রীভূমির অপরূপ প্রকৃতি, ভ্রমনার্থী মাত্রেই আকৃষ্ট করে। সিলেটে একবার বেড়াতে এলে বার বার ছুটে আসতে ইচ্ছে করবে-এখানকার মাটির কাছে, প্রকৃতির কাছে।
সাংবাদিকতার সূত্র ধরেই পর্যটন বিষয়ে আমি লেখালেখির প্রতি মনোনিবেশ করি। দৈনিক যুগান্তর, দৈনিক যুগভেরী এবং মাসিক দর্পনসহ বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় সিলেটের পর্যটন নিয়ে বেশ কিছু ফিচার লিখি। তখনই মনে আসে এনিয়ে একটি প্রকাশনার। শুরু করি কাজ। নতুন আরও কিছু পর্যটন স্পটের সন্ধান পাই। সেগুলোর তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করে পাণ্ডুলিপি তৈরী করি। যার ফলস্বরূপ এই প্রকাশনা। তবে, মা বাবার স্নেহের পরশ না পেলে এই প্রকাশনা কখনই সম্ভব হতনা। সিলেটের পর্যটন সম্পর্কে জানার ক্ষেত্রে এই সাইটটি সহায়ক হবে, এমনটিই প্রত্যাশা।
|